• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে কক্সবাজারে 


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২২, ০৮:৩৩ পিএম
বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে কক্সবাজারে 

কক্সবাজার সৈকতে দিনদিন বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। একেবারে নিরাপদ ও  নির্বিঘ্নে সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছে এসব পর্যটকরা। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে সন্তুষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।

২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মারমেইড বিচ রিসোর্টে এক অস্ট্রেলিয়ান নারী পর্যটককে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় অধিবাসীদের সাবধানে চলাফেরা করতে নির্দেশনা জারি করেছিল নিজ নিজ দেশের দূতাবাস। এ ঘোষণার পর কক্সবাজারে বেড়াতে আসা বিদেশি পর্যটকরা তাদের ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে ফিরে যান। অনেকে আবার আগাম বুকিং বাতিল করেছিলেন। এটি গণমাধ্যমে প্রচারের পর সরকারও বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থান নেয়। এ ঘটনার দুই বছর পর কক্সবাজার সৈকতে আবারও বিদেশি পর্যটকদের আনাগোন স্বাভাবিক হয়েছে।

বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে হোটেল গ্রান্ড বিচের ব্যবস্থাপক শাহ নেওয়াজ  বলেন, “বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে কোনো আতঙ্ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পর্যটন এলাকা হিসেবে এখানে সার্বক্ষণিক জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ নজরদারি রাখছে।” 

প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিক এবং পর্যটকদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শনিবার বিকেল পর্যন্ত হোটেলে ১০০ জনের অধিক বিদেশি পর্যটক অবস্থান করছেন। এর মধ্যে তুর্কিস্তান ও ইতালির পর্যটক রয়েছেন। এছাড়াও তাদের ভেন্যুতে অনুষ্ঠিতব্য একটি প্রোগ্রামে হাজারের অধিক পর্যটক অংশ নেবে এবং সেখানেও অনেক বিদেশি পর্যটক আসবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল হোসেন বলেন, “এই বছরের মতো কোনো বছর এই রকম বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা হয়নি। এ বছর বেশিরভাগ বিদেশি পর্যটক দেখতে পাচ্ছি আমরা। চেষ্টা করব কক্সবাজারকে পরিকল্পিতভাবেই সাজিয়ে বিদেশি পর্যটকদের মন জয় করার জন্য।”

এ ব্যাপারে টুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন জানান, বিদেশি পর্যটকরা সৈকতে প্রবেশ করলে তাদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তাদেরকে সাদা পোশাকে নজরে রাখা হয়। বিদেশি পর্যটকদের যেন কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

Link copied!